বরাবরই অন্যধারার ছবি বানাতে পছন্দ করেন জাতীয় পুরস্কার বিজয়ী পরিচালক গৌতম ঘোষ। তাঁর নতুন ছবি ‘রাহগির – দ্য ওয়েফারার্স’-ও তার ব্যতিক্রম নয়। ‘M S Dhoni – The Untold Story’ বা ‘Simran’-এর মত ছবির প্রযোজক অমিত আগরওয়ালের ‘আদর্শ টেলিমিডিয়া’র প্রযোজনায় এসেছে এই ছবি।
প্রেক্ষাগৃহে না এলেও এ ছবি ইতিমধ্যেই দেখানো হয়েছে বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে। তেমনই গত ২১শে জানুয়ারি পুনে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে এই ছবিটি। ছবিটিতে অভিনয় করছেন আদিল হুসেন, তিলোত্তমা সোম, নীরজ কবি, ওমকারদাস মানিকপুরী।
ছবিতে ফুটে উঠেছে ভারতের সেইসব দরিদ্র মানুষদের কথা, যাঁরা কেবল জীবিকার সন্ধানে ভারতবর্ষের মত বিশাল একটা দেশ পাড়ি দেন পায়ে হেঁটে। সেই যাত্রার সময়েই পরস্পরের সঙ্গে দেখা হয় তাঁদের। সঙ্কটের মুহূর্তে মানুষের সহানুভূতির গল্প বলে এই ছবি। তিনটি চরিত্র, এবং তাঁদের পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়েই বোনা হয়েছে ছবির গল্প। ছবিটির বেশীরভাগ অংশই শ্যুট করা হয়েছে ঝাড়খণ্ডের রাঁচি এবং নেতারহাটে।
ছবির প্রযোজক অমিত আগরওয়াল জানিয়েছেন, ‘পুনে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে দর্শকদের কাছ থেকে এত ভাল প্রতিক্রিয়া পেয়ে আমরা ভীষণ খুশী। এইধরনের উৎসব চলচ্চিত্র-নির্মাতা এবং চলচ্চিত্রপ্রেমীদের কাছে একটা বড় মঞ্চ। এই ছবিটি মানুষের ভাল লেগেছে শুধু তাই নয়, ছবিটি নিয়ে তাঁদের প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন শুনে বোঝা গেছে, যথেষ্ট মন দিয়ে তাঁরা দেখেছেন ছবিটা।’ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির আগে আরো বেশ কিছু চলচ্চিত্র উৎসবে ছবিটি নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রযোজক।
ছবির পরিচালক গৌতম ঘোষ বলেন, ছবিতে ভারতের দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাস করা মানুষদের গল্প বলা হয়েছে। তাঁরা বনে থাকেন, বাঁচেন সীমিত কিছু স্বপ্ন নিয়ে। প্রতিদিনের খাদ্যের সংস্থান করাই তাঁদের সবচেয়ে বড় চিন্তা। ছবিটি মানুষের জীবনসংগ্রামের গল্প বলে, যে গল্পের পরতে পরতে জড়িয়ে থাকে এই মানুষগুলোর মধ্যে এখনো বেঁচে থাকা মনুষ্যত্বটুকু। বেঁচে থাকার সংগ্রাম থাকা সত্ত্বেও সহানুভূতি এবং মনুষ্যত্বের উদযাপন এই ছবি।
পুনে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের আগেও ছবিটি প্রদর্শিত হয়েছে বুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব, MAMI – মুম্বাই চলচ্চিত্র উৎসব, সাংহাই আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব, সিনেমেশিয়া(CinemAsia) চলচ্চিত্র উৎসব (আর্মস্টারডাম), KIFF – কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব, IFFK – কেরালা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে।